তথ্য প্রযুক্তি মামলায় নব্য নেতা (শিবির ক্যাডার) হাসান সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৬, ২০২২ সময়ঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ

সুজা তালুকদার চট্টগ্রাম থেকে

নব্য আওয়ামী লীগ নেতা ও শিবিরের ক্যাডার হাসান

ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা ৮ জনে বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। মুল ঘটনার সূত্রপাত আমরিন এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মনছুর আলম পাপ্পি ও মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোঃ আলমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে। এ ঘটনায়  ৮ জনে বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বাদী পক্ষ। মামলায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক), ২৯(১), ৩৫(১) ধারায় অভিযোগ করা হয়।

বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে মামলাটি করেন মাওয়া গ্রুপের ম্যানেজার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শুনানির জন্য আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন-মোহাম্মদ হাসান প্রকাশ আল নাহিয়ান বিন হাসান, সরোয়র উদ্দিন জুমা, হোসাইন অভি, মোঃ হাকিব নয়ন, কামরুজ্জামান রনি, রুবাইয়াত এইচ অনিক, শরীফ সিদ্দিকী ও বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের ফেইসবুক ফেইজের এডমিন।

এটা সেই হাসান, যিনি এক সময়ের ছাত্র শিবিরের ক্যাডার এখন ছাত্র লীগের ও আ.লীগের নেতা বনে গেছেন। ছাত্র লীগ আর আ.লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সব অপকর্মই করে চলেছেন এই তথাকথিত ছাত্র লীগ নেতা নামধারী ছাত্র শিবিরের ক্যাডার মোহাম্মদ হাসান। তিনি এখন চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগের পোষাকে ডিজিটাল সন্ত্রাসী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে চট্টগ্রাম সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত ৫ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাদের ব্যবহৃত ফেইসবুক পেইজ থেকে ব্যবসায়ী হাজী মোঃ আলম ও আমরিন এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মনছুর আলম পাপ্পি ও মাওয়া গ্রুপের ম্যানেজার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপুর্ণ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করে আসছিল।

শিবিরের ক্যাডার হ্যানড্সাম বয় খ্যাত হাসান
শিবিরের ক্যাডার হ্যানড্সাম বয় খ্যাত হাসান

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলায় অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানের দুই কর্নধার যথাক্রমে আমরিন এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মনছুর আলম বাপ্পি ও মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোঃ আলম দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আয়কর দাতা, দানবীর হন। তাঁরা দেশের অর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে অত্যন্ত সুপরিচিত, স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। অভিযোগকারীর মালিকগণের উপরোক্ত সমাজ হিতৈষী কর্মকান্ডে ইর্ষান্বিত হয়ে উপরোক্ত আসামিরা তাদের আই.ডি থেকে অভিযোগকারীর মালিকগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানীকর বক্তব্য সমূহ পোষ্ট করেন।

উল্লেখ, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নব্য নেতা বনে যাওয়া হাসাসের নামে অভিযোগের শেষ নেই।  লিখিত ভাবে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে সন্ত্রাসী লাইনে পা রাখে। তথিত আছে বর্তমানে তিনি ওয়ালথার পিপিকে অত্যাধুনিক ব্র্যান্ডের অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তার বিরুদ্ধে একাধিক বার জাতীয় দৈনিক সহ চট্টগ্রামের স্থানী মিডিয়াতে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারী ২০২১ দৈনিক আমাদের সময়ে ছাপা হয় ‘শিবির ক্যাডার এখন আ.লীগের নিয়ন্ত্রক’, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ সালে বাংলাবাজারে ছাপা হয় ‘চট্টগ্রামের শিবিরের সন্ত্রাসী হাসান এখন আওয়ামী লীগ পরিচয়ে’, ১২ই ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে  দৈনিক আজাদী পত্রিকায় ছাপায় ‘অস্ত্র সহ মন্টু আটক হাসান, দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার’, ২১ আগষ্ট ২০২২ সালে দৈনিক পূর্বকোণে ছাপা হয় ‘মুহুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামী মন্টুর দেহরক্ষী হাসান গ্রেপ্তার’। এতো কিছুর পরও এই ছাত্র শিবির ক্যাডার আ.লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ২০২২ সালেও বেশ ভালই আছেন। চলছে তার সকল অপকর্ম আর সন্ত্রাসী কার্যক্রম।

শিবিরের ক্যাডার হ্যানড্সাম বয় খ্যাত হাসান

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G